ইউক্রেনের সঙ্গে ‘ইতিবাচক’ আলোচনা হয়েছে: পুতিন
ওই বৈঠকের পরও শুক্রবার (১১ মার্চ) ১৬ দিনের মতো যুদ্ধ চলছে।
ইউক্রেনে হামলা অব্যাহত রেখেছে রুশ সেনারা।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বক্তব্য অনুযায়ী, রাশিয়া ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যকার আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে।
মস্কোতে রাশিয়ার মিত্র দেশ বেলারুশের নেতা আলেকসান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে বৈঠকে ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘আমাদের পক্ষের আলোচনাকারীরা আমাকে জানিয়েছেন যে, কয়েকটি ইতিবাচক পরিবর্তনের বিষয়ে কথা হয়েছে’।
এখন পর্যন্ত দুই দেশের সীমান্তে দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যে তিন দফায় বৈঠক হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তুরস্কে বৈঠক করেন। তবে এখন পর্যন্ত এই আলোচনায় কোনো সুনির্দিষ্ট ফলাফল পাওয়া যায়নি।
রাশিয়ার ওপর আরোপ করা আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা দেশের জন্য ইতিবাচক হতে পারে—এমন মন্তব্যও করেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
পুতিন বলেন, ‘এমন সময়ে সুযোগ পাওয়া যায় অর্থনীতি শক্তিশালী করা ও প্রযুক্তিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার’।
যদিও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে পশ্চিমারা রাশিয়ার ওপর কঠোর আর্থিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এর পরিণতি সব রাশিয়ানরা ভোগ করবে।
জেলেনস্কি বলেন, ‘এটি অবশ্যই ঘটবে, আপনি (রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন) রুশ নাগরিকদের কাছে ঘৃণিত হবেন। রুশ জনগণের সঙ্গে আপনি অনেক বছর ধরে প্রতারণা করছেন। এখন তাদের অর্থে টান পড়েছে। রাশিয়ার শিশুরাও ভবিষ্যতে আপনার এই প্রতারণার পরিণতি ভোগ করবে’।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনে বহু হতাহত হয়েছে। ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে পুরো ইউক্রেন। এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে পাশের দেশগুলোতে অন্তত ২৫ লাখ মানুষ শরণার্থী হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
0 Comments